
দূতাবাস একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, প্রবাসীদের বিভিন্ন সেবা প্রদানে দূতাবাসের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন যেমন অত্যন্ত জরুরী, ঠিক তেমনই আপনাদের সহযােগিতাও দরকার- পরিচিতিমূলক সভার বক্তব্যে একথা উল্লেখ করে নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, কুয়েতে নিয়ােগপ্রাপ্ত হওয়ার পর এ দেশটিতে কর্মরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রবাসীদের নানা সমস্যার কথা শুনেছি, আপনাদের সব সমস্যা সমাধানে দূতাবাস দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরাে টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ, একথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত কুয়েতে অবৈধ ভিসা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠিন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন , ভিসা ব্যবসা যারা করছেন , তারা অন্য কোনাে দেশের নাগরিকদের সঙ্গে করছেন না। বরং ভিসা ব্যবসা করে আমরা আমাদেরই ক্ষতি করছি। অতএব, ভিসা ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে কোনাে ছাড় নেই, যদি দূতাবাস কাউকে ভিসা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তাহলে তার পাসপাের্ট বাজেয়াপ্ত করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশে অকারণে নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ বা অন্যদের সঙ্গে ঝগড়া – বিবাদ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকবেন। কাজকর্ম করে নিজ পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করুন। তিনি বলেন, কারাে ক্ষতি করতে যাবেন না, কেউ যদি আপনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে দূতাবাস আপনাকে সর্বাত্মক সহযােগিতা করবে। তিনি আরাে বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটিতে এক সংগঠনের মধ্যে একাধিক গ্রুপ। এ ধরনের জটিলতা দ্রুত সমাধানের পরামর্শ দেন। এছাড়া করােনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়ােজনের কথাও যােগ করেন। রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন । বিশেষ করে হৃদরােগ ও স্ট্রোকে প্রবাসীদের অনাকাঙ্খিত মৃত্যু, দেশে আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসী ও কুয়েতে একটি বাংলাদেশী স্কুল প্রতিষ্ঠা বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রবাসীরা।
( সুত্রঃ agrodristi.com )